পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের প্রথম খেলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সফরকারিদের বিপক্ষে ৮৮ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার রাতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান ও সায়েম আয়ুবের সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংসে ১০ উইকেটে ১৮২ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯৪ রানেই সব উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্ক চ্যাপম্যান।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউ করার পর বাবরকে বোল্ড করে দেন অ্যাডাম মিল্ন। পাল্টা আক্রমণে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফখর ও আইয়ুব। ৭৯ রানের বিস্ফোরক জুটি ভাঙে আইয়ুবের রান আউটে। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারে তিনি করেন ৪৭ রান। একটু পরে সোধির করা চতুর্দশ ওভারের শেষ বলে ফখর ফেরেন ৪৭ রানেই। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৩৪ বলের ইনিংসে চারটি চারের পাশে ছক্কা দুটি।
তাদের ফেরার মাঝে পাকিস্তান হারায় আরও দুটি উইকেট। ত্রয়োদশ ওভারে পর পর দুই বলে হেনরি ফিরিয়ে দেন শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদকে। পরে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে হেনরি পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের এটি চতুর্থ হ্যাটট্রিক। দ্বাদশ ওভারে ২ উইকেটে ১০৯ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর ছিল পাকিস্তান। দ্রুত ওই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ১৩১/৬। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ (১৬ বলে ২২) ও রউফের (৫ বলে ১১) ছোট ছোট অবদানে ২০০ রানের কাছে যায় পাকিস্তানের সংগ্রহ।
প্রথম তিন ওভারে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারানো নিউজিল্যান্ডকে টানতে পারেননি কেউ। অনেকটা সময় টিকে থাকা টম লাথামকে এলবিডব্লিউ করে শিকার শুরু করেন রউফ। পরে এক ওভারে জেমস নিশাম ও রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে সফরকারীদের ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে দেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের অবস্থা হতে পারত আরও খারাপ। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করা মার্ক চাপম্যান জীবন পান মাত্র ২ রানে। আর কেউ ছাড়াতে পারেননি বিশের ঘরও। মাত্র ৮ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড।